ধন ধান্য পুস্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধারা”-কথাটির সার্র্থকতার খোঁজ মিলছে দেশের দক্ষিণ সমুদ্র উপকূলে দেশের অন্যতম খাদ্য ভান্ডার বরিশার।
সবুজের মাঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনালী পাকা আমণ ধান। তাই বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার সর্বত্র মাঠ জুড়ে সোনালী আমণ ধানে বিস্তীর্ণ ক্ষেত। রোপিত আমণ ধান গাছের বুক চিরে বেরিয়েছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন।
সমুদ্রের ছোট ছোট ঢেউয়ের মতো সবুজ সোনালী মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।কৃষকের সবুজ সোনালী স্বপ্নে ছেয়ে গেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। চোখ যতদূর যায় দৃষ্টিজুড়ে এখন সোনালী পাকা আমণ ধান বিস্তীর্ণ মাঠের পর মাঠ। রোপা আমন ধানের ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুঁটেছে। প্রত্যন্ত গ্রামের কিছু কিছু জায়গায় চলছে কৃষকের ধান কাটা মহোৎসব ! সরেজমিনে একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এবছর ফলন ভালো হয়েছে।
কিন্তু এবছর রোগ বালাই বেশি থাকায় কৃষকের কিটনাশক ও সার বেশি লাগায় খরচের পরিমান বেড়েছে প্রতি বছরের তুলনায় অনেক বেশি। গলাচিপা সদর ইউনিয়নে উত্তর বোয়ালিয়ার কৃষক মিজানুর (৩৫) বলেন, এ বছর ২৪০শতক জমিতে আমণ ধান চাষ করেছি এতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৮হাজার টাকা।
ফলন ভালো হওয়ায় ১২০মণ ধান ধান তুলতে পারবো বলে আশা করছি। তবে এবছর রোগ বালাই বেশি হওয়ার কারনে খরচের পরিমান হয়েছে অনেক বেশি। কৃষক রণজিৎ পাল বলেন, এবছর ২৭০ শতক জমিতে আমণ ধান চাষ করেছি ফলন এবার মোটামুটি ভালো হয়েছে কিন্তু রোগ বালাই একটু বেশি থাকায় খরচের পরিমানটা একটু বেশি হয়েছে। ফলন ভালো হলে এবছর ১৩৫-১৪০ মণ ধান তুলতে পারবো।
বাজার ভালো থাকলে লাভের আশা করা যায়। কৃষক আদিত্য পাল বলেন, ১৮০ শতক জমিতে এবছর আমণ ধান চাষ করেছি রোগ বালাই বেশি থাকায় এবছর খরচ অনেক বেশি হয়েছে। আশা করি এবছর ৮৫-৯০ মণ ধান তুরতে পারব। এতে বাজার ভালো থাকলে মোটামুটি লাভ হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার বলেন, গলাচিপা উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমান ৪২ হাজর ৯৪৬ হেক্টর। এবার চলতি রোপা আমন মৌসুমে ৪২ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে। তার মধ্যে উফশি ২৭ হাজার ৩০০ হেক্টর ও দেশি জাতের ১৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে।
আশা করছি শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবে। তিনি আরও বলেন, এবছর রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ একটু বেশি থাকায় কৃষকের খরচের পরিমান বেশি হয়েছে। তবে এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ধানের বাজার ভালো থাকলে কৃষকরা এবার লাভবান হবে।